মরণোত্তর সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয়
রাজশাহী প্রেসক্লাবের অভিনন্দন-কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
প্রেসবিজ্ঞপ্তি ০৫ মে ২০২১॥ রাজশাহীর দুইজন প্রয়াত গুণী সাংবাদিক বুলবুল চৌধুরী ও তবিবুর রহমান মাসুমের পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মরণোত্তর তিন লক্ষ টাকা করে মোট ছয় লক্ষ টাকার আর্থিক বরাদ্দ দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালালকে রাজশাহী প্রেসক্লাব অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এই দুই প্রয়াত সাংবাদিক পরিবারের পাশে কেউ না দাঁড়ানোয় রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি/সম্পাদক উদ্যোগী হয়ে কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন প্রেরণ করেন। এরআগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সুপারিশের প্রেক্ষিতে দুইজন সাংবাদিক পরিবারকে (খবরপত্রের হুমায়ুন কবীরকে চিকিৎসা ও প্রয়াত সাইদুর রহমান নাজু পরিবারকে মরণোত্তর) দুই লক্ষ করে চার লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছিলো।
রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতো সাংবাদিকবান্ধব রাষ্ট্রপ্রধান। সাংবাদিকের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তিনি সার্বজনীন ফান্ড গঠন করেন। কিন্তু একসময় ফান্ডটি সাংবাদিকের কল্যাণে ব্যবহার হওয়ার পরিবর্তে মুষ্ঠিমেয় কতগুলো ব্যক্তি শুধু সুবিধা গ্রহণ করতেন, স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে সজ্জ্বন ব্যক্তি, ডাকসুর সাবেক নেতা একুশে পদকে ভূষিত সাংবাদিক পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার পর থেকে স্বচ্ছতার সাথে সাংবাদিকদের প্রয়োজনে যেন ফান্ডটি ব্যবহৃত হয় সে ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন। যার সুফল রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় ও জেলা শহরের সাংবাদিকরা পাচ্ছেন।
প্রয়াত সাংবাদিক বুলবুল চৌধুরী প্রায় ৪ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভারত থেকে ওপেনহার্ট সার্জারী করে নিজ বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন, পাশাপাশি ব্যবসায়িক কাজে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে পরিবারটি আর্থিক সংকটের ভেতর পড়ে। তাঁর পরিবারটির কেউ খোঁজখবর রাখেন নি। রাজশাহী প্রেসক্লাব জানতে পেরে পরিবারটির জন্য মরণোত্তর আর্থিক সহায়তার আবেদন ট্রাস্টে প্রেরণ করে। একইভাবে প্রয়াত সাংবাদিক তবিবুর রহমান মাসুমের মৃত্যুজনিত কারণে তাঁর পরিবার আর্থিক সংকটে পড়লেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তাঁর সহধর্মিণীর অনুরোধ জানালে রাজশাহী প্রেসক্লাব সুপারিশসহ আবেদনটি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রেরণ করেন। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজশাহীর দুই প্রয়াত সাংবাদিক পরিবারকে মরণোত্তর তিন লক্ষ টাকা করে মোট ছয় লক্ষ টাকার আর্থিক বরাদ্দ দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালালকে রাজশাহী প্রেসক্লাব আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।