ভোলাহাট (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ চাঁপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাটে আবারও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাউছার আলম সরকারের বিরুদ্ধে প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৩০ জুন বুধবার বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোলাহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুটানীবাজার এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অর্ধশতাধিক স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আলালপুর (ভোলাহাট) বিজিবি ক্যাম্পের দক্ষিণে যাত্রী ছাউনি থেকে আজিজুলের গভীর নলকূপ রফিকুলের জমি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট করার জন্য ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা’র আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তায় পুরোটায় মাটি না দিয়ে দুই পাশে প্রায় চার হাত করে আট হাত বাদ দিয়ে রাস্তায় মাটি দিয়ে শুধুমাত্র রাস্তার মধ্যস্থানে মাটি ফেলা হয়েছে যা আগের চেয়ে বর্তমানে রাস্তাটি সংকুচিত করে চলার অনুপযোগী হয়ে গেছে। অভিযোগে আরও বলা হয় শ্রমিক দিয়ে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আলম সরকার এবং প্রকল্প কমিটির যোগসাজশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নামমাত্র মাটি ভরাট করে যা সরকারি নিয়মবহির্ভূত। শুধু তাই নয় প্রকল্পের কাজের বিবরণী সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রদর্শনী করা হয়নি। পাকা রাস্তা করে দেব বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে সহজ-সরল মানুষদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আলম সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি প্রকল্পটি দেখব আর প্রতিবেদককে অফিসে এসে কথা বলার কথা বলে ফোন কেটে দেন। এদিকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে রাস্তার মাঝখানে মাটি ফেলার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন আমরা কাজ শেষ করে বিল তুলে নিয়েছি আর সামনে বর্ষায় মাটি নেমে পুরো রাস্তা ভরাট হয়ে যাবে। উল্লেখ্য এর পূর্বে প্রকল্প হরিলুট সহ অভিযোগকারীকে অবরুদ্ধ করারও অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আলম সরকারের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে দাবি ফুটানীবাজার এলাকাবাসীর।