হাবিবুল বারি হাবিব, শিবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রতিবেশীর সাথে ছাগল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আম ও লেবু সহ সদ্য রোপন করা বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘঁনাটি ঘটেছে উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকায়। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ এলাকার ভুক্তভোগী মো: একরামুল হক। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পাশে আমার ক্রয়কৃত জমিতে আম ও লেবু সহ বিভিন্ন প্রকার গাছ রোপন করা রয়েছে। প্রতিনিয়ত ঐ জেিমতে পাশের বাড়ি আব্দুল মালেকের ছাগল ঢুকে আমার গাছপালা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
এমতাবস্থায় আমি মাঝে মধ্যেই তাদেরকে ছাগল বেঁধে ও দেখেশুনে রাখতে বলি। কিন্তু তারা কোনভাবেই আমার কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ৯ অক্টোবর ২০২২ বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তার ছাগল আমার জমিতে ঢুকে গাছপালার ক্ষতি সাধন করলে আমি নিরূপায় হয়ে ছাগলটিকে খোয়াড়ে দিয়ে আসি। সেই দিনই আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম আমার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কওে এবং আমার জমির গাছপালা কেটে ফেলবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসে। পরদিন সকাল ৫ টায় আমি জমির দিকে গেলে দেখতে পাই আমার জমির কিছুদিন আগে রোপন করা আম ও লেবুগাছ সহ বেশ কিছু গাছ কেটে জমিতে পড়ে আছে। আমরা গাছের সাখে এমন ঘৃণ্য ও অমানবিক আচরনের বিচার চেয়ে শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এসময় তাদের এমন হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন সময়ে গালিগালাজ থেকে মুক্তিও চেয়েছেন ভুক্তভোগী একরামুল হক ও তার স্ত্রী। তবে গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে জানার জন্য আব্দুল মালেক এর বাড়িতে গিয়ে ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, আমরা গাছ কেটেছি তার কোন প্রমাণ দিতে পারবে না। আমরা তাদের জমির গাছ কাটতে যাইনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: সুজন মেম্বার বলেন, ছাগল খোয়াড় দেয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী মিলে তাদের গাছ কেটে ফেলেছে বলে শুনেছি। এসময় এমন জঘন্য কাজের সঠিক বিচার ও দাবী করেন তিনি।
এদিকে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাছ কেটে ফেলা যেহেতু গুরুতর অপরাধ, সেহেতু অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।