সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় নলকূপ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সূতাবাড়িয়া গ্রামের খান বাড়িতে।
জানা যায় গত শনিবার (৩ জুন) বেলা অনুমান ১টার দিকে মৃত আ. জলিল খানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪০) নিজবসত ঘরের সামনে গভীর নলকূপে পানি আনতে গেলে প্রতিপক্ষ মো. রহমান খান (৪০) ও তার স্ত্রী মোসা. শান্তা বেগম (৩০) পূর্ব বিরোধের জেরে উত্তেজিত হয়ে রিনা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে রিনা বেগম প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রিনা বেগমকে রেইন্ট্রি গাছের ডাল দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটাতে থাকে। এতে রিনা বেগম আহত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পড়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তুষার বলেন, রিনা বেগম আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলায় ১৬ নম্বরবেডে ভর্তি আছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ আছে ও মাথায় চোট লেগেছে।
এ বিষয়ে রিনা বেগম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে রহমান খান ও শান্তা বেগম স্বামী-স্ত্রী একত্রিত হয়ে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকেএলোপাথারীভাবে মারতে থাকে। পরে আমার কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে। আমার ডাক চিৎকারে লোকজন এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে রিনা বেগমের ছেলে নিরব (১২) বলেন, আমার মাকে ওরা মেরে ফেলার জন্য ভারি মুগুর মারধর করে। রিনা বেগমের অপর ছেলে রিয়াদ খান (২৭) বলেন, আমার মাকে ওরা প্রায়ই গালি গালাজ করত। আমার মা পানি আনতে গেলে ওরা আমার মাকে বেধম মারধর করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মো. রহমান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উভয়ে আত্মীয়। আমরা তাকে মারধর করি নাই। এমনিতে আমার স্ত্রীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থাা করব।
এ বিষয়ে রিনা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (৫ জুন) গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কলাগাছিয়া ফাঁড়ি ইনচার্জকে ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।