শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের দায়ের করা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান (৩৫), সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার বলেন, “১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সাথে বাঁকিরা যারা রয়েছে, তাদেরও খুব শিঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে এবং আদালতে সোপর্দ্ধ করা হবে।”পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, “আমার তদন্তে যেটা এখন পর্যন্ত পেয়েছি সেটা হলো কলেজের অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বের কারনে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুনু এবং অধ্যক্ষ হারুনর রশিদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব বিরাজমান। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি এই কারণে হয়তো এ ভাঙচুর করা হতে পারে।” পুলিশ সুপার আরো জানান, “এ ঘটনার চাক্ষুস প্রমান রয়েছে। কলেজের দারোয়ান ঘটনাটি স্ব-চোখে দেখেছে। তারা বেশ কিছুক্ষন ধরে সেখানে অবস্থান নিচ্ছিলো। রাত ১১টা থেকে আড্ডার ছলে তারা রাত পৌঁনে ১টার দিকে হাতুড়ি দিয়ে তিনটি স্থানে তিনটি আঘাত করে। পরে তারা মোটরসাইকেলে করে স্থান ত্যাগ করে।” এদিকে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়া শহরের থানা মোড়ে জেলা জাসদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে জেলা জাসদের নেতৃবৃন্দরা।
প্রসঙ্গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা একই ভাবে হাতুড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও তাদের সহযোগী দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।