• বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নাচোলে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে কবরস্থানের জমি নিয়ে দুই পক্ষের ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ২ নাচোল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ও সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েল বিশ্বাস কারাগারে নাচােলে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আদর্শ বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন প্রতারনার অভিযোগে আরএমপি’র রাজপাড়া থানার দুই এসআই’র বিরুদ্ধে মামলা শানপুর যুব উন্নয়ন সোসাইটির উদ্যোগে জাতীয় যুব দিসস পালিত হয়েছে নাচোলে যুব দিবস পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও সদর উপজেলা জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গোমস্তাপুরে জামায়াতের সভা নাচোলে ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

শীত মৌসুমে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

Reporter Name / ২১৪ Time View
Update : রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে শীত মৌসুমের উপাদেয় খাবার কুমড়ো বড়ি তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন নারীরা।
মাসকলাই ও চালকুমড়ো দিয়ে কুমড়োর বড়ি তৈরিতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও গ্রামঞ্চলের নারীদের ব্যস্ততা দেখা মিলছে শীতের সকালে। শীতের হিম শিতল বাতাসে ও প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে সুস্বাদু কুমড়োর বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গ্রামের নারীরা।
মাসকলাই ভিজিয়ে রাখার পর তা দিয়ে ডালের আটা ও পাকা চাল কুমড়ো মিশিয়ে এ সুস্বাদু বড়ি তৈরি করা হয়।
গ্রামীণ এলাকার ৯০ ভাগ মহিলা পালাক্রমে একে অপরকে সহযোগিতা করে কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজটি করে থাকেন।
অত্র এলাকার নারীরা এই বড়ি তৈরি করতে কয়েক মাস পূর্ব থেকেই চাহিদা মতো চাল কুমড়ো পাকানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। এরপর মাসকলাই দিয়ে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু খাবারের অংশবিশেষ কুমড়ো বড়ি।
কুমড়ো বড়ি তৈরিতে মূলত চালকুমড়া এবং মাষকলাইয়ের ডাল প্রয়োজন হয়। মাষকলাইয়ের ডাল ছাড়াও অন্য ডালেও তৈরি হয় এ বড়ি। রোদে মচমচে করে শুকালেই এর ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।

বড়ি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলার নারীরা জানান, বড়ি তৈরির আগের দিন ডাল ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর চালকুমড়া ছিলে ভেতরের নরম অংশ ফেলে দিয়ে বাকি অংশ গুলো মিহিকুচি করে রাখতে হবে। তারপর কুমড়ো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়া হলে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সারা রাত ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পরে ডালের পানি ছেঁকে শিল-পাটায় বেটে নিতে হবে। এবার ডালের সঙ্গে কুমড়া মেশাতে হবে। খুব ভালো করে হাত দিয়ে মিশাতে হবে যতক্ষণ না ডাল-কুমড়োর মিশ্রণ হালকা হয়। তারপর কড়া রোদে চাটি বা কাপড় বিছিয়ে বড়ির আকার দিয়ে একটু ফাঁকা ফাঁকা করে বসিয়ে শুকাতে হবে। বড়ি তিন থেকে চার দিন এভাবে রোদে শুকানোর পর খাওয়ার উপযোগি হয়,পরে সেটি অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
শীত মৌসুমে এ বড়ি তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মিটায়ে বাজারে বিক্রি করলে কিছু বাড়তি আয়ও করা যায় বলে জানান কুমড়ো বড়ি তৈরি করা নারীরা।
শুধু নাটোরেই নয়! সারা দেশেই এই কুমড়ো বড়ি সুক্ষ্যাতি রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category