জোরপূর্বক সম্পত্তি আদায়ের চাঁঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে দায়পুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান৷ জিয়াউর রহমানকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার ২৭ আসামিকে জামিন ও এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সিআর ৩৮২/২০২০ নং মামলায় দায়পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য জিয়াউর রহমানসহ ২৯ আসামি আদালতে হাজির হন। এ সময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ২৭ আসামিকে অন্তর্বতীকালিন জামিন দেন। দায়পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জিয়াউর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এদিন সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. দেলওয়ার জাহান জানান, বাদীকে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে পাঁচটি ব্যাংক চেকের পাতা এবং কয়েকটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপ নেয়ার অপরাধে ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মূলত বলপ্রয়োগে সম্পত্তি আদায়ের চেষ্টায় আসামিরা ব্যাংক চেক ও নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প হাতিয়ে নেন। আমলী আদালতে (শিবগঞ্জ) আইনের ৪৪৮/৩৪২/৩৮৬/৩৪/১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। সে সময় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তেও ঘটনার সত্যতা পাই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।