জিয়াউল কবীর স্বপনঃ
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে, রাজশাহীতে আজ মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে জেলার সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিটি সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে রাজশাহীর কুমারপাড়াস্থ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কলেজ রাজশাহীর উপাধক্ষ্য ও রাজশাহী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ ইয়াকুব বাদশা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগের আহবায়ক মোহাম্মদ শোয়েব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সাম্প্রদায়িক গােষ্ঠীর প্রধান টার্গেট হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। সেই সঙ্গে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্নের সােনার বাংলাদেশকে প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক,সংবিধান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী, নারীশিক্ষা, নারী উন্নয়ন, আধুনিক প্রগতিশীল মানবিক শিক্ষা ও
সমাজব্যবস্থার বিরােধীতা করা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে এদেশে ক্ষমতায় আসার সুযােগ না হতাে তাহলে সােনার বাংলার সবুজ প্রান্তর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সাম্প্রদায়িক গােষ্ঠীদের হিংস্র থাবার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে সিরিয়া,লিবিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের ভাগ্য বরণ করতে হতাে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বাদশা বলেন, ১৯৯৬ সালে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ক্ষমতায় এলে পটভূমি পাল্টে যায়। সাম্প্রদায়িক গােষ্ঠী মাথা তুলে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসীন হলে জঙ্গিরা গা-ঢাকা দেয়। আত্মগােপনে থাকা এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন বর্তমান সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযােগ নিয়ে আবারও মাথা তােলার চেষ্টা করলেও বর্তমান সরকারের সন্ত্রাসী ও জঙ্গী বিরােধী কঠোরতার কারনে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীরা সফল হয়নি।
সন্ত্রাসী জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারের যে সাফল্য, যে অর্জন, সেটা অকল্পনীয়। বিশ্বের বহু দেশ এটা করতে পারেনি। ১৭ কোটি মানুষের দেশে জঙ্গিসদস্য এবং তাদের আস্তানা খুঁজে বের করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মেধাবী ও চৌকস অফিসাররা যে অপারেশনগুলাে করেছেন, তা বিরল ঘটনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ২০১৬ সালের হােলি আর্টিজান হামলার পর এ পর্যন্ত যতগুলাে অপারেশন পরিচালিত হয়েছে তার সবগুলাে থেকেই জঙ্গিগােষ্ঠী আঘাত হানার পূর্বে পুলিশ ও র্যাব তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে জঙ্গি আস্তানাসমূহ গুড়িয়ে দিয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
জঙ্গিবাদ প্রতিরােধ আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে দীর্ঘ বছর ধরে, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাসমুক্ত ও জঙ্গিবাদমুক্ত বলা হয়।সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সােনার বাংলা গড়ার আশা প্রকাশ করা হয়।