• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ পিস স্বর্ণের বারসহ আপন দুই ভাইকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার! গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃ’ত্যু গোপালগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত নাচোলে জাতীয় আইন গত সহায়তা দিবস-২৪ পালিত গোমস্তাপুরে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় এসির তার চুরির ৩ ঘন্টার মধ্যে চোরকে আটক করে মালামাল উদ্ধার করল পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত নাচোলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার বরাদ্দের অর্থ লোপাটের অভিযোগ খামারিদের নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান

সাপাহারে সুদখোরের কবলে পড়ে সর্বস্বহারা একটি পরিবার

Reporter Name / ৫৬১ Time View
Update : বুধবার, ২ মার্চ, ২০২২

সাপাহারে সুদখোরের কবলে পড়ে সর্বস্বহারা একটি পরিবার

মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর সাপাহারে সুদখোরের কবলে পড়ে বসতবাড়ী সহ সর্বস্বহারা হয়ে পরের বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দিনমজুর আব্দুল হামিদের পরিবার। ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শামীরের ছেলে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ জানান, সে একজন নিরক্ষর ,গরীব ও দিনমজুর। প্রায় দেড় বছর আগে স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য টাকার জন্য হন্য হয়ে ঘুরতে থাকেন। পরে উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের মনছুরের ছেলে এবং সদরের মন্ডল জুয়েলার্সের মালিক হুমায়নের নিকট সুদে টাকা নিতে যায়। জায়গা-জমির বায়না নামা রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া এবং ১বছর পরে দেড় লক্ষ টাকা পরিশোধের শর্তে হুমায়ন ১লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়। নিরুপায় হয়ে আব্দুল হামিদ তার শর্ত মেনে নিয়ে তার একমাত্র সম্বল খেড়–ন্দা মৌজাস্থ ০.৪শতাংশ জমির উপর ইট দ্বারা নির্মিত বাড়িটি বায়নানামা করে দিতে রাজি হয়। যার খতিয়ান নং-১২২। পরবর্তী সময়ে হুমায়ন আবারো শর্ত দেয় যে, বাড়ীতে কারো থাকা যাবেনা। সে শর্তটাও মেনে নিয়ে ১লক্ষ টাকা নিয়ে জমির বায়নানামা রেজিষ্ট্রি করে দেন ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ। কিন্তু তাকে নিরক্ষর পেয়ে বায়না নামা রেজিষ্ট্রি না করে পুরো জমি প্রতারণা করে খোশ কবলা রেজিষ্ট্রি করে নেয় চতুর হুমায়ন। যা সেসময় ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি আব্দুল হামিদ। কিছুদিন পরে তার স্ত্রীর অপারেশন করা হলে দুটো বাচ্চা প্রসব হবার পরেই বাচ্চাদুটি মারা যায়। সেই সাথে প্রসূতিরও চরম সঙ্কটাপন্ন অবস্থা ঘটে। এরই মাঝে হুমায়ন তার লোকজন নিয়ে বাড়ীর চারিদিকে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে আব্দুল হামিদ বাধা দেয়। হুমায়ন তাকে বলে,আমি তোমার বাড়ি কিনে নিয়েছি। পরে ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ধন্না দিয়েও কোন কাজ হয়নি আব্দুল হামিদের। বর্তমান সময়ে প্রায় ১ বছর ৮ মাস যাবৎ আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মানুষের বাসায় থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
গত ১ফেব্রুয়ারী চতুর হুমায়ন ওই বাড়ীর জমি খারিজের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করে। যার আবেদন নম্বর-৩০৮৭৭০৪। বিষয়টি জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন করেন আব্দুল হামিদ।
এবিষয়ে হুমায়নের সাথে কথা হলে তিনি উল্লেখিত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন “আমি ন্যায্য মূল্য দিয়ে ওই বাড়ি সহ জায়গা কিনে নিয়েছি। স্বাক্ষীরা বিষয়টি জানে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এটি ফৌজদারী আদালতের কাজ। যদি ভুক্তভোগী সঠিক হয়ে থাকেন তাহলে ফৌজদারী আদলতের আশ্রয় নিতে পারেন। খারিজ বাতিলের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আপাতত খারিজটা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করবো। দুই পক্ষের শুনানী শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!