বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী শীত মৌসুম আসবে আরও দশ দিন পর। তবে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে প্রকৃতিতে। এরই মধ্যে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ডিসেম্বরের শেষে উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি অঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও জানুয়ারিতে ২ থেকে ৩টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
তাপমাত্রা কমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তা মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। বছরের শুরুতে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস জানাতে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সভা-শেষে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। তবে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। ডিসেম্বর মাসে দেশের নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সূর্য কিরণকাল থাকতে পারে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।
চলতি ডিসেম্বরে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আসবে না।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, উত্তরের বাতাস তীব্র না হওয়াতে রাতের বেলা শীত অনুভূত হলেও এখনো দিনের বেলা সূর্যের তাপের কারণে কম অনুভূত হচ্ছে। তবে ডিসেম্বর মাসে শীতের তীব্রতা বাড়বে এবং এক বা একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে।