চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বেগম মহসীন ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মুসা ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হকের চেয়ার দখল নিয়ে টানা টানির মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষীকি পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য খন্ডকালীন ৩য় ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ওই মাদরাসার সভাপতি আজিজুল হক জানান, গত ২৩নভেম্বর/২০২৩ তারিখে সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ইসহাক আলীর অবসর জনিত কারণে তাঁর সহদর ভাই সহকারী অধ্যাপক(আরবী) মোঃ মুসাকে ওইদিনই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি নিয়োগ প্রদান করেন। কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৫ জানুয়ারী/’২৪ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়েগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।এরই পেক্ষিতে ততকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবেদনকারীদেরকে ২২ মার্চ /’২৪ তারিখে অনুষ্ঠেয় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য কার্ড প্রেরণ করেন। আবেদনকারীগণ নির্ধারিত তারিখে সকাল ১০টায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত হলে মাদরাসার মুল ফটকে তালা মারা দেখে অপেক্ষা করে প্রার্থীরা ফিরে যান।মাদরাসায় নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সভাপতি গত ২৭মর্চ পরিচালনা কমিটির সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মুসা (সহকারি অধ্যাপক আরবি) কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ হতে অব্যহতি প্রদান করেন এবং ওইদিন উক্ত মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক (আরবি) মোঃ তোফাজ্জল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করেন। বেগম মহসীন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় বর্তমানে দুই জনই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবী করে আসছেন। নাচোল বেগম মহসিন মাদ্রাসায় বহুদিন ধরে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরস্পরের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সভাপতির দাবী মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশ থাকলেও অব্যাহতিপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মুসা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেনকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে দিচ্ছেন না। অব্যাহতিপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুসা জানান, তিনি আরবী-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইকোর্ট এর রায়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এদিকে গত ৩ জুলাই অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ২জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল খান নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নীলুফা সরকারের নির্দেশে গত ০৩ জুলাই ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা পরিচালনার জন্য মোঃ বদরুল ইসলাম(সহকারী শিক্ষক)কে আহ্বায়ক করে ০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।কিন্তু অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শেষে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও দুই অক্ষক্ষের মধ্যে চেয়ার দখল নিয়ে টানাপড়নে মাদরাসায় শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হবার আশংকা প্রকাশ করেছেন নাচোলবাসী।