ফয়সাল আজম অপু,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কামাল হোসেন নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক বাদী হয়ে উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনির উদ্দিন মনিরসহ পাঁচ জনের নামোউল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কামাল হোসেন উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করছেন।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে থানা পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের তাহের হোসেন, ফয়সাল আহমেদ, আনহারুল মিয়া ও মাসরিবুল ইসলাম।
তদন্তের সার্থে মামলার অন্য আসামীদের নাম প্রকাশে অনিহা প্রকাশ করে তাহিরপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই দীপঙ্কর বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটককৃত চারজনকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তনদী জাদুকাটার তীরে নূরী পাথর কয়লা লাকড়ি উক্তোলনরত ঘাগটিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের শ্রমিকরা স্থানীয় সাংবাদিক উপর নির্যাতন চালান।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু লাহাব জানান, নদীতে বালু, পাথর উত্তোলন, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ এক বছর ধরে। এরপরও পেটের দায়ে বিভিন্ন গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ নদীতে নুড়ি পাথর, কয়লা, লাকড়ি তুলে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু কামাল পত্রিকায় নিউজ দেওয়ার জন্য শ্র্রমিকদের ছবি তুলতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করেছে। কামাল তাদের কাছে অর্থ দাবি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে কামাল হোসেন জানান, আমি দুপুরে উপজেলার জাদুকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে ছবি নিতে সেখানে যাই। কাজ শেষে অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন বেশ কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করে। আমাকে বাজারে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এরপর তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।