চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলছে রমরমা প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক নেই বললেই চলে। আর এসব বানিজ্য চলছে বিভিন্ন কেজি স্কুলে। শিক্ষার্থীদের এ্যাসারমেন্ট দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কেজি স্কুলে পড়াতে দেখা যায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ এমপিওভূক্ত কয়েকজন শিক্ষককে। এসব শিক্ষা বানিজ্য চালাচ্ছে তারা বিভিন্ন কেজি স্কুলে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রকাশ্যে চালাচ্ছে প্রাইভেট বানিজ্য। বিনোদপুরের ভুলকিপাড়া কিন্ডার গার্টেনে প্রাইভেট পড়াতে দেখা যায় ৫৬ নম্বর একবরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আলফাজউদ্দিনকে, বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভূক্ত চার শিক্ষক মারুফ আলী, মো. তরিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক ও নুর মোহাম্মদকে বিনোদপুর কচিকাঁচা কিন্ডার গার্টেনে প্রাইভেট পড়াতে দেখা যায়। এসময় কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
অপরদিকে খন্দা কামাত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়াতে দেখা যায় তেলকুপি কলন্দা আলিম মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা খাতুন ও তার স্বামী মোঃ আলমগীর হোসেনকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি এলাকায় কেজি স্কুলে ক্লাশ করতে দেখা যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে কোন মাস্ক দেখা যায়নি। এক শ্রেণির সুবিধাবাদী শিক্ষকরা এমনি বেপরোয়াভাবে কেজি স্কুলের কচিকাঁচা শিশুদের করোনা আগ্রাসনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরিবেশবিগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।