পুরুষ মানুষ দুনিয়ার অত্যন্ত অসহায় একটি প্রাণী। যারা কিনা নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তত করিতে পারেনা। তৈরি খাদ্যের জন্য তারা নারীর উপর চরম মাত্রায় নির্ভরশীল, কখনো কখনো একটা গ্লাস পানির জন্য ও। এই তালিকায় বাংলার পুরুষ সমাজ দুনিয়ার অন্যান্য পুরুষ সমাজের চেয়ে অনেক গুন বেশি এগিয়ে আছে। ইউরোপে স্কুল লেভেলেই খাবার রান্নার ব্যাসিক সবাইকে শেখানো হয়।
আর বাংলায় কোন কোন নানী দাদী মা খালারা ছেলেদের রান্নার কাজে অংশগ্রহণকে মহাপাপ বা অপ্রয়োজনীয় কাজ মনে করে, ছেলেদের দোষ সেখানে নগন্য, তাদের এটা শেখানো হয়না। অথচ এটা এক হিসাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ। একজন মানুষ একজন বুয়া, মা বা বউয়ের অভাবে সাভাবিক জীবন চালায় নিতে অক্ষম, খাওয়ার মতো ব্যাসিক নীড পূরণে ব্যর্থ! তার তখন একমাত্র উপায় কারি কারি টাকা খরচ করে হোটেলে খাও! যা কোটিপতির পক্ষে সম্ভব।
ছোটবেলায় এক স্যারের কাছে পড়তাম। স্যারের বউ বাবার বাড়ি গেলে মোটেও অসহায় হয়ে পরতেন না কারন তার মা তাকে রান্না শিখিয়েছে। তার ভাষ্যে বউয়ের চেয়ে তার রান্না ভালো হয়। একজনের উদোর পূর্তির জন্য আরেকজন যে হয়তো সন্তান সম্ভাবা অথবা যার হয়তো ৪ ডিগ্রি জরে গা পুড়ে যাচ্ছে তার মরতে মরতে রান্না ঘরে যেতে হচ্ছেনা এটা কী সুন্দর একটা ব্যাপার, তাই না?
শশুর বাড়ি যাওয়ার পরে প্রথম সকাল রান্নাঘরের কিছু না বুঝে রাগ করে শুয়ে পড়েছিলাম। আধা ঘন্টা পরে দেখি ফ্রিজে রাখা আধা ছ্যাকা রুটি ছেকে সাথে ডিম ভেজে জামাই নাস্তা নিয়ে হাজির। ছেলেরা চাইলে কিনা পারে? কোন রেস্টুরেন্টে কয়টা মেয়ে বাবুর্চি আছে বলেন দেখি! রান্নার মতো লাইফ স্কিল যার জানা নেই সে আসলেই অর্ধেক মানুষ। সে দেশ জাতি পরিবারের বোঝা। জানা থাকতে সমস্যা কী! ৩৬৫দিন তো মা বোন বুয়া বা বউরাই বিছানায় বা টেবিলে খাবার সার্ভ করে যায়। একটা দুটা দিন তাদের কোন প্রয়োজনে না থাকলে পুরুষ যেন না খেয়ে না মরে….ইতিহাস সাক্ষী বহু নবী সাহাবীরাই রান্না পারতেন করতেন তাহলে রান্নাঘরে এই কৌলিন্য কেন?