• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফুলকুঁড়ি স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃশ্রেণী বিতর্ক প্রতিযোগিতা – ২০২৪ নাচোলে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত মহেশপুরে ড্রাগন চাষী মিলনের ২৬শ’ ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা কোটালীপাড়া জোর পূর্বক ৭০ বিঘা ঘের তৈরি নাচোলে বিশ্ব “মা” দিবস উদযাপন নাচোলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কে সংবর্ধনা নাচোলে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু গোমস্তাপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  আশরাফ আলী আলিম নির্বাচিত নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামাল উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা ইয়াসমিন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত। বুধবার নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান পদে ২জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে-৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে-২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্য ও ব্যপক দূর্নীতির আভিযোগ ।

Reporter Name / ১৭৮ Time View
Update : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

পলাশ সিকদার গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ


গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামের গিমাডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পদে ৬জন কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায় গত ১৫ই জুন এই নিয়োগ প্রদান করেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি তাওফিক বিশ্বাস, শিক্ষার ডিজি এর প্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ শিক্ষক প্রতিনিধি। নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আন্জুমান আরা খানম, বর্তমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বি,এম তাওফিক এর স্ত্রী। অফিস সহকারী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্বজিৎ মন্ডল, জানা যায় এই বিশ্বজিৎ মন্ডল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডলের চাচাতো ভাই। কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সনেন্দ্র রায় সে ও এই প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়। এই প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যপারে এলাকার জনমনে ঝড় উঠেছে। আরো নিয়োগ পান নিরাপত্তা কর্মী জালাল উদ্দিন, পরিছন্নতা কর্মী রাজু লষ্কর ও আয়া পদে নিয়োগ পেয়েছেন নিলুফা খানম। এলাকাবাসীর বক্তব্য ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে পাওয়া যায় নিয়োগের ব্যপারটা সম্পূর্ন গোপন রেখে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

গোপন সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক নিয়োগ প্রার্থীদের নিকট হতে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের পাশের এক সমাজপতি বাঁধা দিলে নিয়োগ কমিটির লোকজন তাকে হুমকী প্রদান করেন। পরে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকাও দিতে চায়। যাতে ব্যপারটা ফাঁস না হয়। গোপন সূত্রে জানা যায় সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত আন্জুমান আরা খানম বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্যর স্ত্রী হওয়ার সুবাদে কোন রকম লেনদেন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।

নিয়োগ বানিজ্য ও আত্মীয় করণ এর ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পূর্ন সচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ ই জুন লিখিত ও মৌক্ষিক পরিক্ষার মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সহ আরো পাঁচ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এই পরীক্ষায় ৫ জন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সহ মোট ৪৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ৫/৬ জন ব্যতীত সকলেই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। নিয়োগ বোর্ডে কারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন সরকারি জিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবতাবুর রহমান হেলালী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন শওকাত শরীফ, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস। এই পাঁচ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিনি বলেন বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্ত্রী প্রার্থী থাকায় সভাপতি নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন না, তবে তার প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শওকাত শরীফ।

আরও পড়ুনঃ- গোমস্তাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক বৃদ্ধার আত্মহত্যা

এ ব্যপারে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকা উপজেলা শিক্ষা আফিসার মাহাবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডে আমরা পাঁচ জন ছিলাম। সহকারী প্রধান শিক্ষক আন্জুমান আরা খানমের নিয়োগের সময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমটির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। আমি যখন জানতে পারি প্রার্থী সভাপতির স্ত্রী তখন আমি সভাপতিকে বের করে দেই। তিনি তার একজন প্রতিনিধিকে রেখে যান। আমি জানতাম না যে, নিয়োগ যারা পেয়েছে বা বোর্ডে হাজির হয়েছে তারা প্রধান শিক্ষক বা সভাপতির আত্মীয় স্বজন।

নিয়োগে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হয়েছে তাও আমি জানিনা নিয়োগে আনিয়ম এবং বিশেষ ক্ষমতা বলে নিজের স্ত্রীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক বানিয়ে নেওয়ার ব্যপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য, বি এম তাওফিক ইসলামের ০১৭১৮১০০৭৫৮ নাম্বারে গত রবিবার বার বার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায় নাই। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category




error: Content is protected !!
error: Content is protected !!