রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের জন্য ১২ বলে প্রয়োজন তখন মাত্র ৪ রান। ৪১ বলে ৯৬ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে উদযাপনে লেগে পরলেন। সেঞ্চুরির পাশাপাশি যে বাচা-মরার ম্যাচের নায়ক তিনি। কারণ শেষ চারে খেলতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো ফরচুন বরিশালকে।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও নায়ক হতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ঝড় তুলে ম্যাচের সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিলেন পারভেজ হোসেন। ২২১ রানের পাহাড় সমান রান পাড়ি দিতে বরিশাল খেলেছে ১৮.১ ওভার।
১১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় তামিম ইকবালের দল। এই জয়ের ফলে দলটির প্লে-অফে খেলার আশা বেচে থাকলো। কিন্তু টানা ৫ ম্যাচে হার অবশ্যই চিন্তার ভাজ ফেললো রাজশাহীর কপালে।
২২১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা বরিশাল উড়ন্ত সূচনা পায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাইফ হাসানের ব্যাটে। পঞ্চম ওভারে দলীয় ৪৪ রানে সাইফ ২৭ রানে ফিরলেও তামিমকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইমন। দুজন মিলে পাওয়ার প্লে’তে যোগ করেন ৬৭ রান।
এরপর আরও হাত খুলে খেলতে শুরু করেন দুজন। রাজশাহীর বোলারদের নাকানি চুবানি খাইয়ে দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে ১৪তম ওভারে রান আউট হওয়ার আগে তামিম ফেরেন ৩৭ বলে ৫৩ রান করে। অধিনায়ককে হারালেও থেমে যাননি ইমন।
আফিফকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। শেষের দিকে রাজশাহীর বোলাররা কিছুই করার পাচ্ছিলেন না। আনিসুল ইমনকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সঙ্গে বরিশালের আশাও বেঁচে থাকলো। যা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দ্রুততম শতক।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে নাজমুল হোসেনের সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ২২০ রান তোলে রাজশাহী। ৫৫ বলে ১০৯ রান করেন অধিনায়ক শান্ত। হ্যাটট্রিক সহ ৪৯ রানে ৪ উইকেট নেন কামরুল ইসলাম।