আড়াই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি বর্তমান সময়ের সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ জি-এর শীর্ষে উঠলো য্যুভেন্টাস। মেসি-রোনালদো দ্বৈরথে কারিশমাটিক পারফরম্যান্স দেখালেন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই রোনালদো ও আলভারো মোরতার তাণ্ডবে বার্সার রক্ষণভাগ বারবারই হুমকির মুখে পড়ে। যে কারণে ফাউলের সুবাদে পেনাল্টি পায় য্যুভেন্টাস। রোনালদোকে ফাউল করেন চোট কাটিয়ে এক মাস পর সম্প্রতি ফেরা ডিফেন্ডার রোনালদো আরাহো। ১৩তম মিনিটে সফল স্পটকিকে গোল করে লিড নেন সিআরসেভেন। এই গোল হজমের মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় বার্সা শিবিরে আরও একটি ধাক্কা লাগে। ২০তম মিনিটে টার স্টেগানকে পরাস্ত করে গোল আদায় করে নেন য্যুভেন্টাসের ওয়েস্টন ম্যাককেনি।
প্রথমার্ধে অনেক চেষ্টার পরও সেই দুই গোল শোধ করতে পারেনি মেসি-গ্রিজম্যানরা। ফলে ২-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল শোধ করবে কী উল্টো ৫২ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে বার্সেলোনা। এবারও সেই পেনাল্টি। ৪৯ মিনিটের সময় ডি বক্সে বার্সার এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগে। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিক থেকে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন রোনালদো। ৩-০ তে এগিয়ে যায় ইতালির জায়ান্টরা।
এদিকে, উপায় না পেয়ে মার্টিন ব্রাথওয়েটকে নামান কোম্যান। কিন্তু তাতে কোনা কাজ হয়নি। একটি বলও য্যুভেন্টাসের জালে জড়াতে পারেনি মেসি-ব্রাথওয়েট। অন্তত মেসি জ্বলে উঠবেন, তার ছন্দে ঘুরে দাঁড়াবে বার্সা- দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা জুড়ে এমন স্বপ্ন দেখেছিল মেসিভক্তরা।
মেসি অনেকটা জ্বলেও উঠেছিলেন। য্যুভেন্টাসের গোলপোস্ট বরাবর ৭টি শট ও নিয়েছিলেন। কোনোটিই লক্ষ্যভেদ হয়নি। য্যুভেন্টাসের ৪২ বছর বয়সী গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন মেসির ৭টি অন টার্গেট শটই প্রতিহত করেছেন। ফলে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।