নতুন বছরে আবুধাবি টি-টেন লিগে সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের ছয় ক্রিকেটার। টি-টেনে দল পাওয়া ক্রিকেটাররা হলেন; মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শেখ মাহেদি হাসান, মুক্তার আলি ও নাসির হোসেন।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে এদের মধ্যে অনেককেই এই টুর্নামেন্টে খেলতে অনুমতিপত্র (এনওসি) দিবে না অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-(বিসিবি)। দিবে না কারণ আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তারা টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় রয়েছেন। তবে যারা বিসিবি এই উইন্ডিজ সিরিজে পরিকল্পনায় নেই তারা হয়ত এনওসি পাবেন খেলার জন্য!
গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের একথা জানান বিসিবি’র সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমাদের যেটা দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ খেলোয়াড় যারা এই টুর্নামেন্টের জন্য সুযোগ পেয়েছে বা তাদেরকে ডাকা হয়েছে তারা আমাদের যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরের সময় যে খেলাগুলো হবে বিশেষত প্রথমে যে প্রোগ্রামগুলোর পরিকল্পনা করা আছে তার মধ্যে এদের অনেকেই যেহেতু অন্তর্ভুক্ত সেক্ষেত্রে সুযোগটা আমার কাছে খুবই কম মনে হচ্ছে।’
নিজাম উদ্দিন সুজনের কথা ধরে বলা যায় নাসির হোসেন ও মুক্তার আলি ছাড়া বাকি চার ক্রিকেটার জাতীয় দলের প্যানেলের মধ্যেই আছেন, তাই তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না আবুধাবি টি-টেন লিগে। তবে নাসির ও মুক্তার আলির বিসিবি থেকে ছাড়পত্র পাবার সম্ভাবনা রয়েছে অনেকেটাই।
গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও পেস মুক্তার আলিকে দলে ভিড়িয়েছে মারাঠা অ্যারাবিয়ানস। দুই তরুণ স্পিন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শেখ মেহেদি হাসানকে নিয়েছে বাংলা টাইগার্স। আর অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকা নাসির হোসেনকে নিয়েছে পুনে ডেভিলস।
নতুন বছর ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি আবু ধাবিতে পর্দা উঠবে টি-টেন লিগের। আর পর্দা নামবে ৬ ফেব্রুয়ারি।