নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী-৪, (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে হাটগাঙ্গোপাড়ায় প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন দলের স্থানীয় বিদ্রোহী নেতা-কর্মিরা।
জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট হাটগাঙ্গোপাড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে এমপি এনামুল হক জেলা আ.লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এই ঘটনায় দলের এমপি বিরোধী নেতাকর্মিরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর এমপি এনামুল হক তার অনুসারী দলীয় নেতাকর্মিদের সঙ্গে নিয়ে রোববার বিকেলে হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে একটি চা-স্টলে আড্ডা দিতে আসেন।
এসময় জেলা আ.লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. পিএম সফিকুল ইসলাম, জেলা আ.লীগের সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম সান্টু, তাহেরপুর পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মো: আবুল কালাম আজাদের অনুসারীরা সেখানে জড়ো হয়ে এমপি এনামুল হককে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে এমপি এনামুল হক পুলিশ পাহারায় স্থান ত্যাগ করেন।
এরপর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মিরা ওই চা-স্টলের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেন এবং হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিন ও তেতুলতলা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন- আউচপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, সহসভাপতি বাবলু সরকার, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মমিনুল ইসলাম মাসুম মৃধা, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ আলম, যুগ্নসম্পাদক আবু সাইদ এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জেলা আ.লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বলেন, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে এমপি আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় দলের স্থানীয় নেতা-কর্মিরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাই তারা একজোট হয়ে হাটগাঙ্গোপাড়ায় এমপিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে এমপি এনামুল হক বলেছেন, তিনি দলীয় নেতা-কর্মিদের সঙ্গে নিয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে চা পান করতে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে কোন কিছু ঘটেনি। তিনি চলে আসার পর সেখানে কি হয়েছে তা তিনি জানেন না।