লিয়াকত,জিয়াউল (রাজশাহী ব্যুরো):
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার খাসভাগ বরা বিলে জমিতে ফসল রেখেই চলছে পুকুর খনন। সরজমিনে
গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুকুরের মাঝখানে দিব্যি ফসল পরিচর্যা করছে একজন কৃষক এবং তার পাশ থেকে মাটি কেটে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা এবং ইট ভাটায় মাটি পরিবহন করে অবাধে তা বিক্রি করা হচ্ছে।
এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা অন্যদিকে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এতে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে নামধারী নেতা সাইফুলসহ কতিপয় অসাধু পুকুর ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা সহ একাধিক ব্যাক্তি।
স্পটে গিয়ে জানা যায় দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ছেলে মিলন ও তার বন্ধু সাইফুল দুজন মিলে এ তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন এ বিষয়ে পুকুর খননকারী সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি একজন নেতা এমপি-স্থানীয় নেতা আবুল বাসার ও সাবেক ছাত্র নেতা টুলুকে ম্যানেজ করে এবং স্থানীয় প্রেসক্লাবকে টাকা ও চেয়ার দিয়ে এ পুকুর খনন করছি। আমি অন্য কাওকে বক্তব্য দিতে রাজি নয়।
এ বিষয়ে, প্রেসক্লাবের সভাপতি রবির সাথে কথা বলা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং মান হানিকর কথা বলতে থাকেন।
এ অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে একাধিক বার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না প্রশাসন। রাতদিন অবাধে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন চলছে।
বিষয় গুলো নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন সহ উপজেলা ভূমি অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলছেন।
এলাকার সাধারণ কৃষকেরা প্রশাসনের এ নির্বিকারতা দেখে সাংবাদিকদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার পানানগর ইউনিয়নের ডাঙ্গির পাড়া বিলে ৩ ফসলি জমিতে ৩ নং পানানগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাই মহিদুল ২ টি ২৪ বিঘার অবৈধ পুকুর খনন করছেন। সেখানে ভেকু সরবরাহ করছেন মোশাররফ।
তেবিলা মোড়ের পশ্চিম দক্ষিন পার্শে ৩ ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করছেন রেজাউল করিম প্রায় ১২ বিঘা, সেখানে ভেকু সরবরাহ করেছেন মোশাররফ। একই স্থানে মোজাম্মেল ও আজেম ৩ ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করছেন মোজাম্মেল ও আজেম তার পার্শে মজিবর পুকুর খননের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ দিকে নারায়নপুরের বিলে অবৈধ পুকুর খনন করছেন মোজাম,আমজাদ, কালামের মোট ৫ টি অবৈধ পুকুর । সেখানে বিভিন্ন দালালেরা ভেকু সরবরাহ করছেন। অপর দিকে উপজেলার আংরার বিলে আওয়ালের মাধ্যমে অবৈধ ১শ বিঘার ৩ টি পুকুর খননের খবর প্রকাশিত হলে আওয়াল বলেন, প্রশাসন আমার পুকুর থেকে ভেকু গাড়ির চাবি নিয়ে গেলেও উপজেলার চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে ভেকু গাড়ির চাবি ফেরত দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে নিউজ ফিউজ করে কোন লাভ নাই আমি যা করার তাই করবো । উপজেলা প্রশাসন ও নেতাদের ম্যানেজ করে পুকুর খনন করছি। সবাই আমার হাতের মুঠোয়, আমার পুকুর খনন কেউ বন্ধ করতে পারবে না বলেও জানান। এব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধাকে তার মোবাইল (০১৭৬২৮৬৫৬১৬)
নম্বরে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।