স্টাফ রিপোর্টার: রাসেল আহম্মেদ ১১ নভেম্বর ২০২৫, বগুড়ার গাবতলীতে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেন হত্যা মামলায় আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এছাড়া এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজেদুর রহমান পিন্টু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও অন্য দুই যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর তাদের সাজা কার্যকর করা হবে। দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিচয়: আবুল কালাম ওরফে বাবুল (৩৫), মিশু (৩০), মানিক (৩২)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত: দেলোয়ার হোসেন দলু (৬৮), আশিক (৩০) ও মাজেদুর রহমান পিন্টু (৪৬)। খালাসপ্রাপ্ত: শান্ত (একজন)। শিশু দুই আসামির বিচার শিশু আদালতে এখনো চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে গাবতলীর দুর্গাহাটা ইউনিয়নের বটিয়াভাঙ্গা দক্ষিণপাড়া এলাকায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেনকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। সেদিন তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, চারমাথা মোড়ে ওঁৎ পেতে থাকা হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পরদিন নিহতের বড় ভাই মমিন হোসেন গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সিআইডির তৎকালীন পরিদর্শক সকির উদ্দিন ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রায় ঘোষণার পর নিহত তোজাম্মেলের পরিবার আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এটি ন্যায়বিচারের একটি দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।