মোঃ রফিকুল ইসলাম,
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রহস্যজনকভাবে দুটি গাভীর মৃত্যুর ঘটনায় এক অসহায় খামারি প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মোঃ রফিজ উদ্দিন সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে তার গোয়াল ঘরে দুটি গরু—একটি সাদা-কালো রঙের ৮ মাসের গর্ভবতী গাভী এবং একটি কালো বকনা গরু—রেখে ঘুমাতে যান। পরদিন (১১ নভেম্বর) ভোরে তার স্ত্রী গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন, কালো বকনা গরুটি খিঁচুনিতে ছটফট করছে এবং গাভীটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।
পরে স্থানীয় পশু চিকিৎসক এসে জানান, বকনা গরুটি মারা গেছে এবং গাভীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকের পরামর্শে রফিজ উদ্দিন বাধ্য হয়ে গাভীটি জবাই করেন। গরু দুটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, একজন পরিশ্রমী খামারি এক রাতেই সর্বস্ব হারিয়েছেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর প্রমাণস্বরূপ রফিজ উদ্দিন ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং–৪৯১, তারিখ: ১১/১১/২০২৫)।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আল হেলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোছাঃ হোসনে আরা খাতুনের একটি টিম ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে গরু দুটির পোষ্ট মর্টেম করে স্যাম্পল সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো জন্য নিয়ে আসে।
তিনি বলেন আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল আসলে গরুগুলো বিষক্রিয়ায় না অন্য কোন রোগাক্রান্তে মারা গেছে জানা যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারির সরকারিভাবে কোন অনুদান দেয়া হয় না তবে তার অন্য গরুগুলোর জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এ সময় গর্ভবতী গরুর পেটে পরিপূর্ণ একটি বাছুর নিশ্চিত হয় যা এক মাসের মধ্যে প্রসব করত।
এ বিষয়ে সার্কেল এএসপি মুনতাসির মামুন বলেন, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না আসলে কি ভাবে গরু দুটি মারা গেছে। একটু অপেক্ষা করতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।